২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনের মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হওয়া মহল আবারও একই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এবার তাদের লক্ষ্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশকে রাজনীতি শূন্য করা, বিনিয়োগ ধ্বংস করা এবং ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা নিয়ে সচেতন নাগরিকরা প্রতিবাদ জানাচ্ছে। প্রথম আলো পত্রিকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অনেকে।
২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই ব্যর্থ পরিকল্পনাটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “মাইনাস টু ফর্মুলা নিয়ে কেউ যেন চিন্তা না করেন। বাংলাদেশে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাইপাস করে কিছু হবে না।” প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক ওয়ান-ইলেভেনের সময় দুই নেত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব তুলে ধরে সম্পাদকীয় লেখেন। তাদের ফান ম্যাগাজিন ‘আলপিন’-এর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা, দেশের রাজনীতিকে শূন্য করতে উসকানি দেওয়া, এবং শিল্পপতিদের হয়রানির মতো বিতর্কিত কাজগুলোর অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি সচেতন নাগরিকরা কারওয়ানবাজারে প্রথম আলোর অফিসের সামনে গরু জবাই করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা পত্রিকার সম্পাদককে ‘র’-এর এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে বিচার দাবি করেছে। খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়া এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরার আইনি বাধাগুলো নিয়ে দলের নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনকারীদের বক্তব্যে বিএনপিকে ঘিরে নানা ধরণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ২০০৭ সালে প্রথম আলো পত্রিকা ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’র প্রবক্তা ছিল। তাদের কলামিস্টদের নিয়ে বিতর্কিত অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় থাকার অভিযোগ রয়েছে।
২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি নিয়ে দেশজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সচেতন নাগরিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে কেন্দ্র করে মাইনাস টু ফর্মুলার পুনরায় উত্থাপন রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দেশপ্রেমিক জনগণ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন কোনো ষড়যন্ত্র সফল না হয় এবং দেশের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ থাকে।
অনলাইন ডেস্ক