২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচনে সৌদি আরব একমাত্র প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে রয়েছে বিতর্ক এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কড়া সমালোচনা। ফিফার নিয়মাবলী, আঞ্চলিক সমীকরণ এবং রাজনৈতিক পটভূমি সৌদি আরবের বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার পথ সহজ করেছে। তবে এ নিয়ে রয়েছে নানান প্রশ্ন এবং সংশয়।
ফিফার ভার্চ্যুয়াল কংগ্রেসে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে সৌদি আরব ছিল একমাত্র প্রার্থী। ফিফার পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত নামটি ঘোষণার পর সদস্যরা হাততালি দিয়ে সমর্থন জানান, যা কার্যত ভোট হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো সৌদি আরবের বিশ্বকাপ আয়োজনকে বিপদজনক পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংস্থাগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে যে সৌদি আরবে অভিবাসী কর্মীদের প্রতি শোষণ এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন বন্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সৌদি আরবের এই সফলতার পেছনে রয়েছে ফিফার ‘আবর্তন নীতি’, যা একই মহাদেশকে টানা দুইবার বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দেয় না।
২০২৬ এবং ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজকদের ভৌগোলিক অবস্থান ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনে সৌদি আরবকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। অন্যদিকে, ২০৩০ বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে স্পেন, পর্তুগাল, মরক্কো, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়ে।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, এশিয়া (এএফসি) এবং ওশেনিয়া (ওএফসি) ছাড়া অন্য কোনো মহাদেশের দেশ এই আসরের আয়োজক হতে পারবে না। ওএফসির কোনো দেশ বড় আয়োজনের জন্য প্রস্তুত নয়। ফলে সৌদি আরবের সামনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ ছিল না।
২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে সৌদি আরবের নির্বাচিত হওয়া বিশ্ব ফুটবলের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। যদিও এতে বিতর্ক রয়েছে, ফিফার নীতি এবং গোপন সমীকরণ সৌদি আরবকে এগিয়ে দিয়েছে। তবে মানবাধিকার ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের চোখ থাকবে এই আয়োজনের ওপর।
খেলাধুলা ডেস্ক: রিলাক্স নিউজ ২৪