জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে অজ্ঞাত রোগে ১৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, এবং কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
গত এক মাসে রাজৌরির বাধাল গ্রামে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেছে। এই মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন তদন্তে নেমেছে।
- অজ্ঞাত রোগের সূত্রপাত:
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর বাধাল গ্রামে অজ্ঞাত রোগের প্রথম ঘটনা সামনে আসে। ওইদিন ৫ জনের মৃত্যু হয়। এরপর গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত তিনটি পরিবারের ১৭ জন মারা গেছে। - সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার:
মোহাম্মদ আসলামের পরিবারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। বাবা-মা ও ছয় সন্তানসহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার আসলামের ১৬ বছর বয়সি মেয়ে ইয়াসমিন কৌশার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। - গ্রামের পরিস্থিতি:
বাধাল গ্রাম এখন শোক ও আতঙ্কে নিমজ্জিত। গ্রামে সামাজিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, এবং বাসিন্দারা বাইরের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকছেন। - সরকারি উদ্যোগ:
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এই ঘটনায় বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ১১ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল নিয়োগ করেছে। - প্রাথমিক তদন্তের তথ্য:
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি জলাধারে কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে দূষিত পানি ও মৃত্যুর মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক নিশ্চিত হয়নি। - মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য:
ওমর আবদুল্লাহ বলেন, বেসামরিক প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ সক্রিয়ভাবে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে।
কাশ্মীরের বাধাল গ্রামে অজ্ঞাত রোগে মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সরকারের সক্রিয় উদ্যোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। জলাধারে কীটনাশকের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তবে এখনও নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। এই পরিস্থিতি আরও গভীর অনুসন্ধানের দাবি রাখে।
অনলাইন ডেস্ক