• ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৩ মাঘ ১৪৩১
  • বিনোদন
    আমি মনে করি, যেকোনো পরিবর্তনই পজিটিভ

    image

    সিনেমায় প্রথম কাজ করলেন নোভা ফিরোজ। রনি ভৌমিকের মৃধা বনাম মৃধা ছবিতে তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন সিয়াম। প্রথম ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাসহ নানা বিষয়ে কথা বললেন এই অভিনেত্রী।

    জীবনের প্রথম সিনেমার শুটিং শেষ। অভিজ্ঞতা কেমন?

    দারুণ অভিজ্ঞতা। প্রথমত, জীবনের প্রথম সিনেমা। তার ওপর গুণী সব শিল্পীর সঙ্গে কাজের সুযোগ। আমার জন্য এটা সব সময়ই লোভনীয়। তারিক আনাম খান স্যার, নিমা রহমান আপা, সানজিদা প্রীতির মতো গুণী মানুষের সহশিল্পী হিসেবে কাজ করেছি, ভেবে ভালো লাগছে।

    তারিক আনাম খানের সঙ্গে কাজ মানেই নতুন কিছু শেখা। কী শিখলেন?

    তারিক আনাম খান স্যার যখন সেটে থাকেন, শিক্ষকের মতো হয়ে যান। শুটিংয়ে ছোট ছোট ইনসাইট দিতেন। তাঁর সান্নিধ্যে এতগুলো দিন পার করেছি, অনেক কিছু শিখেছি। এই সিনেমা থেকে এটা আমার একটা এক্সট্রা পাওয়া।

    সিয়ামের সঙ্গে কাজ করতে কেমন লাগল?

    আমরা জুটি বটে, কিন্তু সিনেমার গল্পটাই হিরো। এখানে যাঁরা কাজ করেছেন, সব কটি চরিত্রকেই ফোকাস করা হয়েছে। সিয়ামের সঙ্গে তো আগেও কাজ করেছি। এবার যেটা দেখলাম, সিয়াম তাঁর কাজের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। চরিত্র নিয়ে ভাবে, আলোচনা করে। একজন ভালো শিল্পীর লক্ষণ বলতে আমরা যা বুঝি, তাঁর ভেতরে সেসব দেখেছি। সহশিল্পী হিসেবে খুবই কো–অপারেটিভ।

    মাঝে অনেক দিন ছিলেন না কেন?

    মা হয়েছি। চাকরি নিয়েও ব্যস্ততা ছিল।

    ছবিটার প্রস্তাব পেয়েই রাজি হয়ে গেলেন?

    ছবিটার জন্য যখন অডিশন দিলাম, প্রথমে একটু নার্ভাস ছিলাম। ভাবলাম এত বছর পর কাজ, সে–ও সিনেমায়! পারব কি না। পরে যখন গল্পটা শুনলাম, ভয়টা কেটে গেল। আমি সিনেমায় যে রকম চরিত্রের স্বপ্ন দেখতাম, এটা অনেকটা সে রকমই।

    তারপর, নতুন কোনো কাজ?

    আমি এখনো মৃধা বনাম মৃধার চরিত্রটির মধ্যেই আছি। ডাবিং বাকি আছে। সেটা শেষ করি, চরিত্রটা থেকে বের হই, নতুন কাজের প্রস্তাব পাই। পছন্দ হলে পরে নতুন কাজ করব।

    বিনোদন অঙ্গনটা ক্রমে বদলে যাচ্ছে।

    সবকিছুই বদলায়। আমি মনে করি, যেকোনো পরিবর্তনই পজিটিভ। আমি আশাবাদী মানুষ। একটা সুস্থ পরিবেশে কাজ করতে পারলেই আমি খুশি। সৃজনশীল কাজ করব, ভালো কাজ করব, এটাই আমার চাওয়া।কাজও তো কম করেন।


    এটা আমার পরিচিত সবাই জানেন। যে কাজটা পছন্দ হয়, সেটাই করি। শুধু পর্দায় থাকার জন্য কাজ করতে আমার কখনোই ভালো লাগত না। সব সময়ই কম কাজ করেছি। আমাদের এই পেশায় অনেক চিন্তার জায়গা রাখতে হয়। আজ এ চরিত্র, কাল আরেকটি চরিত্র করব, এটা মানসিক চাপ দেয় আমাকে। আমি এই চাপ নিতে পারি না। আমার মনে হয়, একটা চরিত্র নিয়ে গভীরভাবে ভাবার আছে। চরিত্রটির পোশাক, আচরণ, বাচনভঙ্গি সবকিছুর সমন্বয় দরকার, মাথায় নেওয়ার ব্যাপার আছে। এসব কাজে আমার পর্যাপ্ত সময় লাগে।

    কোনো চরিত্র আছে, যেটায় আপনার নিজের অভিনয় করতে ইচ্ছা করে?

    না। আমি যখন পর্দায় কিছু দেখি, একেবারে সাধারণ দর্শক হিসেবে উপভোগ করি। অন্যদের মতোই হাসি–কাঁদি। তবে আমার স্বপ্ন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প বা সত্যজিতের গল্পের নায়িকা হওয়া। হয়তো সুযোগটা একদিন পেয়েও যাব।
    ভিডিও
    Comments:
    Sponsered Ad
    Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement

    loading