জায়েদ খানকে ইঙ্গিত করে চিত্রনায়িকা পপি বলেছেন, আমি যদি জায়েদের বিষয়ে মুখ খুলি তাহলে সে লোক সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না। একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এফডিসির ক্রাইসিস তুলে ধরে পপি বলেন, এফডিসিতে কী’’ হচ্ছে এটা তো গণমাধ্যমের বরাতে দেশের সবাই জানতে পারছেন। এখানে ক্রাইসিস কী’’ নিয়ে এটাও সবার জানা। তবে আমি মনে করি, এখানে সবচেয়ে বড় ক্রাইসিস হচ্ছে স’ম্পর্কের।
আগে চলচ্চিত্রে সুন্দর কাজের পরিবেশ ছিলো উল্লেখ করে নায়িকা পপি বলেন, আগে কত সুন্দর দিন কা’টাচ্ছিলাম আম’রা। মান্না ভাই, ওম’র সানী ভাই, রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিব খান, মৌসুমী, শাবনূর, পূর্ণিমা, সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইন্ডাস্ট্রিকে লিড দিয়েছেন।
তখন আমাদের মধ্যে ভালো কাজের প্রতিযোগিতা থাকলেও কারও সঙ্গে কোনো রেষারেষি ছিল না। কেউ কারও পেছনে লাগেনি। কারও আড়ালে কারও বদনাম হতো না।’
‘সেই গোছানো স’ম্পর্কগুলো নষ্ট করে দিলো জায়েদ। সে শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসার পরই শুরু হলো একে অপরের সাথে দ্বন্দ্ব। অযোগ্য লোককে চেয়ারে বসালে যা হয়। সবার মধ্যে দ্বন্দ লাগিয়ে নিজে চেয়ারের জায়গাটা শক্ত করে নিতে চাচ্ছিলো সে। কিন্তু অযোগ্য লোক বেশিদিন থাকতে পারে না। তার পতন হবেই।
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পপি আরও বলেন, এর আগে এক ইন্টারভিউতে কেন আমরা জায়েদকে চেয়ারে বসিয়েছি সেটা বলেছি। সেটা অনেকটা শাকিব খানের ওপর অভিমান করেই। এটাই আমাদের ভুল ছিল। এই ভুলের খেসরাত যে এভাবে দিতে হবে বুঝিনি।’
এই চিত্রনায়িকা আরও বলেন, সমিতির নেতার চেয়ারে বসে সে যে ক্রাইমগুলো করেছে তা বর্ণনাতীত। অপরাধগুলোর অনেক কিছুই আপনারা জানেন না। সেগুলো বলার মতোও না। তাই বলি, আমি যদি জায়েদের বিষয়ে মুখ খুলি তাহলে সে মুখ দেখাতে পারবে না।
শুধু বলবো, যার একটাও হিট ছবি নেই, অভিনেতা হিসেব দর্শকরা যাকে তেমন চিনেই না, সেই কিনা রিয়াজ, ফেরদৌস ভাইকে নিয়ে কটুক্তি করে। ওমর সানী ভাইকে সে মানসিক ডাক্তার দেখাতে বলে। তাদের নিয়ে সমালোচনা করে।
Comments: