বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রলীগ। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ জানায়, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে হলেও, ক্যাম্পাসটিতে রাজনীতি চালু করা হবে। তবে উল্টো দিকেই হাঁটছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠিতে, রাজনীতি বন্ধে প্রয়োজনে আইন সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের সদস্যদের ক্যাম্পাসে ঢোকা নিয়ে, কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত বুয়েট। ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে সোচ্চার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই ইস্যুতে অনেকটা স্থবির অবস্থা বুয়েটে। বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি, মতামত প্রকাশ করেছেন অনেক সাবেকও। এমনকি, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ থাকার নোটিস চ্যালেঞ্জ করে, হাইকোর্টে রিটও করেন ছাত্রলীগের এক সদস্য।
এমন বাস্তবতায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ। এসময় সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ মত নিয়ে হলেও বুয়েটে রাজনীতি চালু করতে চায় তাঁরা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের যেকোন প্রস্তাবকে স্বাগত জানাবে।
এ নিয়ে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা। জানায়, রাজনীতিবিহীন বুয়েটই ছিলো সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধে খোলা চিঠিও দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সংবাদ সম্মেলনে খোলাচিঠি পড়ে শোনান বুয়েটের পাঁচ শিক্ষার্থী। ওই খোলা চিঠিতে প্রয়োজনে আইন সংস্কারের অনুরোধ জানায় শিক্ষার্থীরা।