তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি, বকেয়া বিল পরিশোধের চাপ কমে আসা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম হ্রাস পেতে শুরু করেছে। ব্যাংকগুলোর ডলার চাহিদা কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স ডলারের দর মে মাসের তুলনায় ৫০–৭০ পয়সা পর্যন্ত কমেছে। একইসঙ্গে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পর প্রত্যাশিত দামবৃদ্ধির বিপরীতে ডলারের দাম কমে আসছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) পর্যন্ত ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের ডলারের রেট দিয়েছে ১২২.৭০–১২২.৮০ টাকা, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় ৫০–৭০ পয়সা কম। রপ্তানি আয় ভালো হওয়া এবং আমদানি প্রবৃদ্ধি কম থাকায় বাজারে ডলারের চাহিদা কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৪ মে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পর ট্রেজারি প্রধানরা সর্বোচ্চ রেট ১২৩ টাকা রাখার বিষয়ে একমত হন। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, ডলারের চাহিদা না থাকায় দাম কমছে।
বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়ায় মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে। গত কয়েক মাসে ব্যাংকগুলো বকেয়া আমদানি বিল পরিশোধ করে ফেলেছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি এবং অর্থপাচার হ্রাসের ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য বেড়েছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে জুলাই–মে সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৪৪.৯৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১০.৩৬% বেশি। একই সময়ে আমদানি এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ২.৯৮% ও ৬.০৮%। রেমিট্যান্স বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯.৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬.৭% বেশি। বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ গ্রহণ সাময়িকভাবে বাড়লেও সামগ্রিক ডলার চাহিদা কম।
বাজারভিত্তিক বিনিময় হার, স্থিতিশীল রিজার্ভ ও কমে আসা চাহিদার কারণে রেমিট্যান্স ডলারের দর ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সামনের দিনে ডলারের দর আরও কমতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: