জিতলেই ইতিহাস। প্রথমবারের মতো এএফসি কাপে খেলে চলে যাবে আন্তআঞ্চলিক পর্বের সেমিফাইনালে। কিন্তু সেই কাজটি করতে পারল না বসুন্ধরা কিংস। মালদ্বীপের মালেতে ভারতের মোহনবাগানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা।
সমীকরণটা ছিল পরিষ্কার। পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে জিততেই হবে বসুন্ধরাকে। হার এড়াতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যাবে মোহনবাগান। শেষ পর্যন্ত ড্র করেই পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট পেল মোহনবাগান। ম্যাচে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও ড্রয়ের হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে সুশান্ত ত্রিপুরা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় পুরো দ্বিতীয়ার্ধে ১ খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলতে হয়েছে বসুন্ধরাকে। সেই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছে মোহনবাগান।একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল বসুন্ধরা। বিপলু আহমেদের জায়গায় হোল্ডিং মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ও মাহবুবুর রহমানের জায়গায় প্রথাগত রাইটব্যাক সুশান্ত। এই একাদশ নিয়ে ৪-১-৪-১ ফরমেশনে কোচ অস্কার ব্রুজোনের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নিজেদের অর্ধে প্রতিপক্ষকে চড়াও হওয়ার সুযোগ না দেওয়া। প্রথমার্ধে সেটি কখনো পারেওনি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। পরিষ্কারভাবে বল দখলের লড়াই ও গোলের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। ১৪ থেকে ১৫ মিনিট মোহনবাগানকে খুব চাপে রেখেছিল বসুন্ধরা। কলকাতার ক্লাবটির বক্সের মধ্যেই বল ঘুরেছে। মনে হচ্ছিল ‘এই বুঝি গোল’। তপু বর্মণের হেড গোল মুখ থেকে ক্লিয়ার করেছেন প্রিতম কোটাল। রীতি ধরে রেখে মোহনবাগান খেলেছে প্রতি আক্রমণে। ১৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। যদি ম্যাচের সবচেয়ে সহজ গোলের সুযোগটি নষ্ট না করতেন আগের ম্যাচের গোল করা লিস্টন কোলাসো। পোস্ট ফাঁকা পেলেও তিন কাঠির মধ্যে বল রাখতে পারেননি তিনি। ২৩ মিনিটে মোহনবাগান অধিনায়ক রয় কৃষ্ণার ব্যাকভলি ক্রসবার উঁচিয়ে বাইরে চলে যায়।২৮ মিনিটে জোনাথনের গোল। বক্সের মধ্য থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেছেন তিনি। খেলার অনেক পথ বাকি থাকলেও মনে হচ্ছিল, ইতিহাস রচনা করতেই পারে বসুন্ধরা। কিন্তু প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সেই স্বপ্নের লাগাম টেনে ধরে সুশান্তের লাল কার্ড । অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে সুশান্তকে কেন লাল কার্ড দেখানো হলো, সেটি অবশ্য কারও কাছেই পরিষ্কার নয়।
Comments: