যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টির ক্ষমতায় আসার পর প্রথম ছয় মাসে এড মিলিব্যান্ডের নেতৃত্বাধীন বিভাগের অভ্যন্তরীণ বিমানে ৪৩,৬৪৪ পাউন্ড খরচ হয়েছে, যা নিয়ে “ভণ্ডামি” অভিযোগ উঠেছে। যেখানে মিলিব্যান্ড পূর্বে অভ্যন্তরীণ বিমানের ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন, সেখানে তার নিজের দপ্তরেই বেড়ে চলেছে ভ্রমণ ব্যয়। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক সম্মেলনে অংশ নিতে বিদেশ ভ্রমণও করেছেন তিনি।
লেবার পার্টির ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ছয় মাসেই যুক্তরাজ্যের এনার্জি ও নেট শূন্য সচিব এড মিলিব্যান্ডের দপ্তর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ব্যয় করেছে ৪৩,৬৪৪ পাউন্ড, যা কনজারভেটিভ পূর্বসূরি ক্লেয়ার কৌতিনহোর সময়কার তুলনায় বেশি। জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২৪-এর মধ্যে এই ব্যয় রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে খরচ হয় ১৮,৫১৪ পাউন্ড, যা নভেম্বরের ১৪,৭২৫ পাউন্ড থেকে বেড়েছে। আগস্টে খরচ ছিল ৪,৮২৩ পাউন্ড, যা সেপ্টেম্বরে গিয়ে দাঁড়ায় ৬,০৩২ পাউন্ডে। মিলিব্যান্ড নিজেও গ্রীষ্মকালে ব্রাজিল এবং সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে ভ্রমণ করেছেন আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য।
এনার্জি ও নেট জিরো বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা ভিয়েনা, প্যারিস ও নরওয়ে সফর করেছেন। মিলিব্যান্ড নিজেই বলেছিলেন, “ব্রিটিশদের যতটা সম্ভব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট এড়ানো উচিত।” ২০২১ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট নিষিদ্ধ করার পক্ষে সরাসরি মত দেননি, তবে ‘যতটা সম্ভব’ কমানোর কথা বলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অভ্যন্তরীণ বিমানের ব্যবহার কমানোর প্রচারে নেতৃত্ব দিলেও, মিলিব্যান্ডের দপ্তরের খরচ উল্টো বার্তা দিচ্ছে বলে সমালোচকরা দাবি করছেন। এই বিষয়টি লেবার সরকারের পরিবেশ নীতির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: