যুক্তরাজ্যে ১৫ বছরের অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণে জীবনযাত্রার মান হ্রাস পেয়েছে, যা স্লোভেনিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার মতো দরিদ্র দেশগুলির তুলনায় আরও খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চের (NISR) মতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে, যা ব্রিটিশ নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ (NISR) জানায়, যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উৎপাদনশীলতা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। অর্থনীতিবিদ ম্যাক্স মোসলি বলেছেন, যুক্তরাজ্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মজুরি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো হত, তবে সাধারণ ব্রিটিশ শ্রমিকরা প্রতি বছর ৪,০০০ পাউন্ড বেশি আয় করতেন। যুক্তরাজ্যের কিছু অংশ, বিশেষ করে বার্মিংহাম এবং ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, স্লোভেনিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার দরিদ্রতম অংশের চেয়েও খারাপ অবস্থায় রয়েছে। গত দশকে ব্রিটেনের অর্থনীতি স্থবির, ফলে জীবনযাত্রার মানে বড় পরিবর্তন এসেছে, এবং দরিদ্রতমদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।

২০০৭ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর, যুক্তরাজ্যের প্রকৃত আয় মাত্র ৬.৬% বেড়েছে, যা ২০০০ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ২০% বেড়ে ছিল। নিসর উপ-পরিচালক অ্যাড্রিয়ান পাবস্ট জানিয়েছেন, সরকারকে প্রতিটি অঞ্চলের মধ্যে উচ্চ জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারকে ব্যক্তিগত আয়কর সীমা বাড়ানোর জন্য পুনর্বিবেচনা করা উচিত, কারণ ১৫ বছরের স্থবিরতার পর কর্মজীবী পরিবারের জন্য জীবনযাত্রার মান উন্নত করা জরুরি।

যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক স্থবিরতা দেশটির জীবনযাত্রার মানে বড় ধরণের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, এবং বর্তমানে এটি স্লোভেনিয়া ও লিথুয়ানিয়ার মতো পূর্ব ব্লক দেশগুলির তুলনায় আরও খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সরকারের উচিত উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও মজুরি বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

অনলাইন ডেস্ক