এক কিশোরী সেনা সদস্যের মৃত্যুর পর, যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার ১,০০০-এর বেশি নারী তাদের দুঃসহ অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রধানের কাছে লেখা এক চিঠিতে এই "ভয়াবহ ও লজ্জাজনক আচরণের" বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ১৯ বছর বয়সী রয়্যাল আর্টিলারি গানার জেসলি বেকের মৃত্যুর পর, কর্মরত ও সাবেক নারী সেনাসদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের নির্যাতনের গল্প শেয়ার করেছেন। একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর, সেনাবাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ সেনাপ্রধানের চিঠি: টাইমস-এর হাতে আসা এক চিঠিতে জেনারেল স্যার রলি ওয়াকার সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, "একজন নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করুন এবং এই অন্যায় বন্ধ করুন।" নারীদের নির্যাতনের অভিজ্ঞতা: যৌন হয়রানি, শারীরিক নির্যাতন এবং ভয়ভীতির ঘটনাগুলো সামনে এসেছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ: Fill Your Boots নামে একটি প্ল্যাটফর্মে সেনাসদস্য ও সাবেক কর্মরত নারীরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আইনি তদন্ত: স্যালিসবারি করোনার আদালতের শুনানিতে, নিহত কিশোরী সেনার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ উঠে এসেছে।
জেসলি বেকের মৃত্যু: ২০২১ সালের ডিসেম্বরে লারখিল ক্যাম্পে নিজের ব্যারাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় চাঞ্চল্যকর তথ্য: উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারা নারীদের প্রতি অশালীন মন্তব্য ও যৌন হয়রানির ঘটনা উঠে এসেছে।
নারীদের বর্ণিত কিছু অভিজ্ঞতা: একজন নারী বলেন, "সহকর্মীদের সামনে আমাকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় এবং একজন সার্জেন্ট আমার উপর যৌন নিপীড়ন চালায়।" আরেকজন জানান, "একজন পুরুষ অফিসার আমাকে দেয়ালে চেপে ধরে বলেছিল, ‘আমি ঠিক জানি তোমার কী দরকার।’"
অনেক নারী অভিযোগ করেছেন যে, রাতে তাদের দরজায় পুরুষ সেনারা ধাক্কা দিত এবং শ্বাস আটকে রেখে চুপচাপ থেকে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করত।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যৌন নিপীড়নের এই ঘটনা নারীদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। সেনাপ্রধানের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী কী ব্যবস্থা নেয়, তা সময়ই বলে দেবে। তবে নারীদের দাবির প্রতি দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: