আওয়ামী লীগের পতনের পর দুর্নীতি মামলায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা। দুদকের তদন্তে যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলায় এবার যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের নাম উঠে এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে উঠে এসেছে, প্রভাব খাটিয়ে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম করেছেন তিনি।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার একটি আদালত তিনটি মামলার শুনানি শেষে টিউলিপসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এদের সবাই বর্তমানে পলাতক বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি এবং ব্রিটিশ লেবার পার্টির সাবেক ইকোনমিক সেক্রেটারি টিউলিপ সিদ্দিক পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে অবৈধভাবে জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হন। যদিও তার ঢাকায় আরেকটি সম্পত্তি থাকায় তিনি বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’-এর বরাতে জানা যায়, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে টিউলিপকে প্রত্যর্পণের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছে আবেদন করা হতে পারে। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, এবং পরিবারের আরও সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুদক। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩.৯ বিলিয়ন ইউরো আত্মসাতের অভিযোগেও টিউলিপের নাম উঠে এসেছে। পাশাপাশি, তিনি লন্ডনে হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বাংলাদেশের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গ্রেফতারি পরোয়ানার পর তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে, এটি প্রমাণ করে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে প্রবাসী প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও বাদ পড়ছেন না।

অনলাইন ডেস্ক