আশ্রয় হোটেলের ব্যয় বাড়তে থাকায় কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে এটি ২০২৯ সাল পর্যন্ত চালু থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের আশ্রয় ব্যবস্থার সংকট নিরসনে লেবার সরকারের নতুন পদক্ষেপ, তবে ব্যয় কমানোর পথ চ্যালেঞ্জের মুখে।
প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার আশ্রয় হোটেল বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। অভিবাসীদের থাকার জন্য হোটেল ব্যবহারের বার্ষিক খরচ ৩.১ বিলিয়ন পাউন্ড ছাড়িয়েছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, পরবর্তী নির্বাচনের সময় পর্যন্ত হোটেল ব্যবহার অব্যাহত রাখতে হতে পারে। নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার অভিবাসীদের জোরপূর্বক এবং স্বেচ্ছায় অপসারণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৩ সালে আশ্রয় হোটেলে থাকা লোকের সংখ্যা রেকর্ড ৫৬,০০০-এ পৌঁছায়, যা লেবার সরকারের প্রথম তিন মাসেই ২১% বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেয়ার স্টারমার আগামী মাসে এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন। স্বরাষ্ট্র দপ্তর একটি নতুন নির্বাসন পরিকল্পনার জন্য বেসরকারি কোম্পানির সহায়তা নিচ্ছে। গত ছয় মাসে ১৯,০০০ অভিবাসীকে দেশ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ সংখ্যা। অভিবাসন ও আশ্রয় সংক্রান্ত কঠোর আইন কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লেবার সরকার। ফেব্রুয়ারির শেষে স্বরাষ্ট্র দপ্তর আশ্রয় সংক্রান্ত নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে।
যুক্তরাজ্যের আশ্রয় ব্যবস্থার ব্যয় হ্রাস করতে সরকার নতুন কৌশল গ্রহণ করছে, তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে বর্তমান সংকট ২০২৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। অভিবাসন নীতির কড়াকড়ি এবং সরকারি উদ্যোগের কার্যকারিতা ভবিষ্যতে পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: