ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটেনের সামরিক জেট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নতুন কৌশলগত বার্তা দিচ্ছে। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে দ্রুত কূটনৈতিক তৎপরতা এবং সামরিক প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এই পদক্ষেপকে ঘিরে চলছে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ঝড়।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান তীব্র যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে আরও সামরিক জেট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য। প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এই অঞ্চল জুড়ে জরুরি সহায়তার জন্য” অতিরিক্ত সামরিক বিমান পাঠানো হচ্ছে। এই পদক্ষেপ অপারেশন শ্যাডার এর অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যেখানে যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ার ফোর্স (RAF) এর জেটগুলো ইতিমধ্যেই মোতায়েন রয়েছে।
জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে কানাডা রওনা দেওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্টারমার জানান, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং প্রতিটি স্তরে মিত্রদের সাথে টানা আলোচনা চলছে। তিনি বারবার “উত্তেজনা হ্রাস” করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গতকাল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে একটি গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার অধিকারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।” তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। তবে যুক্তরাজ্য সরাসরি ইসরায়েলকে রক্ষায় সামরিকভাবে জড়িত হবে কিনা, তা নিয়ে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
স্টারমার বলেন, “আমি একেবারে স্পষ্ট করে বলেছি যে এই উত্তেজনাকে অবশ্যই কমাতে হবে।”
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে ব্রিটেনের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বড় বার্তা বহন করছে। যদিও ইসরায়েলকে সরাসরি সহায়তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি, তবে RAF জেট পাঠানোর সিদ্ধান্ত ব্রিটেনের কৌশলগত অগ্রাধিকারকে সামনে নিয়ে এসেছে। আগামী দিনে জি৭ সম্মেলনে এই ইস্যুটি গুরুত্ব পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: