ভারতের মোটরসাইকেল আমদানি শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্তের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির মধ্যে দেশটি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এই পদক্ষেপ কি ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিকে প্রভাবিত করবে?
ভারত গত সপ্তাহে মোটরসাইকেলের আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৬০০ সিসির বেশি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে শুল্ক ৫০% থেকে ৩০% করেছে। এর মাধ্যমে ভারত আমেরিকান মোটরসাইকেল কোম্পানি হার্লে ডেভিডসনের বাজারে প্রবেশ সহজ করতে চাচ্ছে। তবে, একই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি নিয়ে ভারতের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্কের দিকে নজর রেখে, ভারত এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালে, ট্রাম্প ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছিলেন। তবে, সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে ভারতের বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন নির্দেশ করে এবং এটি ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, “ট্রাম্প যদি কানাডা ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন, তাহলে ভারতের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারেন।” এছাড়া, ২০২৩ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ১৯০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। ভারত তার আমদানির শুল্কের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্র যেমন স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড ইনস্টলেশন ও সিনথেটিক ফ্লেভারিং এসেন্সে ছাড় দিয়েছে।
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্য যেমন অপরিশোধিত তেল, এলএনজি, মেডিকেল ডিভাইস ইত্যাদি আমদানি করছে, কিন্তু একই সঙ্গে ভারতের রফতানি তালিকা হয়ে উঠেছে বহুমুখী। এতে ভারতের অবস্থান বিশ্ব বাণিজ্যে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বিশ্বজিৎ ধর, বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ, মনে করেন যে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ভারতে শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। কৃষি বাজারে প্রবেশাধিকারেও ভারতের কিছু সমস্যা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক পরবর্তী সময়ে কীভাবে পরিবর্তিত হবে তা নির্ভর করছে দুই দেশের শুল্ক নীতির ওপর। ভারত আশা করছে, তাদের সম্প্রতি নেওয়া পদক্ষেপ ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হবে, তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Comments: