ইসরায়েল হুথি নিয়ন্ত্রিত একটি ব্রিটিশ মালিকানাধীন কার্গো জাহাজে বিমান হামলা চালিয়েছে, যা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। জাহাজটিতে স্থাপন করা রাডার প্ল্যাটফর্মে ইসরায়েলের টার্গেট, ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় হামলার পর হুথিদের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, রোববার রাতে ইয়েমেন-ভিত্তিক হুথি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামক একটি ব্রিটিশ মালিকানাধীন কার্গো জাহাজে ৫০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে।
জাহাজটি ২০২৩ সালের নভেম্বরে হেলিকপ্টার কমান্ডো হামলার মাধ্যমে হুথিরা ছিনতাই করে, যা বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। এটি বাহামা-নিবন্ধিত হলেও মালিকানা রয়েছে একটি ব্রিটিশ কোম্পানির, যার আংশিক মালিক ইসরায়েলি ব্যবসায়ী রামি উঙ্গার।
জানা গেছে, হুথিরা জাহাজটিকে ভাসমান রাডার ও পর্যবেক্ষণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে, যা আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক মহাকাশে জাহাজ ট্র্যাকিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। IDF বলছে, এটি ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছিল।
হামলার পর হোদেইদাহ, রাস ইসা, সালিফ বন্দরের পাশাপাশি রাস কান্তিব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এর কিছুক্ষণ পর ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। হুথিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তারা একাধিক ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে IDF বলেছে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে অথবা ব্যর্থ হয়েছে। হুথিরা বলছে, তারা গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে এই আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে হুথিদের আক্রমণ ও জাহাজ চলাচলের বাধায় লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।
এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থির পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে। হুথি গোষ্ঠীর সাথে ইসরায়েলের এই সংঘর্ষ শুধু সামরিক নয়, বরং বিশ্ব বাণিজ্যের নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলছে। সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: