দেশে ফিরে মঙ্গলবার ঢাকার বিমানবন্দরে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ফাহামেদুল ইসলামকে স্কোয়াডে না রাখার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বলেন, "ফাহামেদুল প্রতিভাবান খেলোয়াড়, তবে সিনিয়র আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য তার আরও সময় প্রয়োজন।"

ফাহামেদুল ইসলামকে ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ঘোষিত চূড়ান্ত স্কোয়াডে রাখা হয়নি, যদিও কোচ হাভিয়ের কাবরেরার অনুরোধে তাকে প্রাথমিক স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

ফাহামেদুলের বাদ পড়া নিয়ে আলোচনা
২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াডে হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাশিত ছিল। তবে ইতালিভিত্তিক ফুটবলার ফাহামেদুল ইসলামের ডাক পাওয়া অনেকের জন্যই ছিল চমকপ্রদ। মাত্র ১৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে কোচ কাবরেরার বিশেষ অনুরোধে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পাননি।

মঙ্গলবার দেশে ফেরার পর ঢাকার বিমানবন্দরে কাবরেরা ফাহামেদুলের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, "ফাহামেদুল ঢাকায় আসেনি, তবে সে আমাদের সঙ্গে সৌদি আরবে এক সপ্তাহ অনুশীলন করেছে। সে প্রতিভাবান, কিন্তু এখনো সময় প্রয়োজন।"

তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার হিসেবে ফাহামেদুলের প্রশংসা করা হলেও, কাবরেরা মনে করেন, তিনি এখনো সিনিয়র জাতীয় দলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নন। "সৌদি আরবে দলের সঙ্গে অনুশীলন তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ছিল। সে ভালো করেছে, তবে এই মুহূর্তে অন্য খেলোয়াড়রা বেশি প্রস্তুত। তাই তার আরও সময় দরকার," কাবরেরা যোগ করেন।

কোচ কাবরেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক
জাতীয় দলের স্কোয়াড নির্বাচন ও খেলোয়াড় ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাবরেরাকে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্রস্তুতিপর্বে তার কিছু সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ইতালিভিত্তিক একজন খেলোয়াড়কে ৩৮ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডে রাখা এবং পরে তাকে বাদ দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া, ক্যাম্প শুরুর আগেই আটজন খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তও অনেকের চোখে প্রশ্নবিদ্ধ।

সৌদি আরবে প্রস্তুতি সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ খেলেই দল দেশে ফিরে আসে। এসব অনিয়মিত সিদ্ধান্তে কোচের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

হামজার আগমনে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ শিবির
তবে অনিশ্চয়তার মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলার হামজা চৌধুরীর দলে যোগ দেওয়া বাংলাদেশ শিবিরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার তার সিদ্ধান্তকে বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

"দলের সবাই তার সঙ্গে অনুশীলন করার জন্য উচ্ছ্বসিত। আমি প্রতি সপ্তাহে তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। এখন আমরা একসঙ্গে ভারতের বিপক্ষে জয়ের পরিকল্পনা করব," কাবরেরা বলেন।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ দ্বৈরথ। বাংলাদেশ ২০০৩ সালের পর থেকে ভারতকে হারাতে পারেনি, তবে কাবরেরা মনে করেন, হামজার অন্তর্ভুক্তি দলের শক্তি বাড়াবে।

"আমরা নিঃসন্দেহে আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তার উপস্থিতি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে," তিনি যোগ করেন।

হামজা গতকাল সকালে সিলেটে পৌঁছান এবং হবিগঞ্জে তার পারিবারিক বাসভবন পরিদর্শন করেন। আজ রাতে তিনি ঢাকার হোটেলে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক