আজকাল রিপোর্ট
ফিলাডেলফিয়া সাউথ ফিলিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে মোয়াজ্জেম হোসেন সাজু নামে এক বাংলাদেশী তরুণ নিহত হয়েছেন। ২৮ বছর বয়সী সাজুর দেশের বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজারের বড়দেশ গ্রামে। কমিউনিটির পরিচিত মুখ সাজুর হত্যাকান্ডে নর্থইস্ট ফিলাডেলফিয়ার বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিরাজ করছে আতংক।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, গত ৩ আগষ্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাজু ফিলাডেলফিয়ার সাউথ ফিলিতে ফ্রন্ট এন্ড অরগানের চার্লিয়েডার্স জেন্টেলমেন ক্লাবে আর এক বাংলাদেশি ডা. শাহরিয়ারের সাথে পার্কিং লটে তাদের গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় দু’জন কৃষ্ণাঙ্গ তাদের গতিরোধ করে এবং তাদের ওয়ালেট ও সেল ফোন দিতে বলে। এ সময় ডা. শাহরিয়ার তার পকেটে থাকা সব দিয়ে দিলেও সাজু দিতে অস্বীকার করলে দুর্বৃত্তদের সাথে তার হাতাহাতি হয়। এ সময় অপর দুর্বৃত্ত সাজুর বুকে গুলি করে এবং দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত সাজুকে স্থানীয় জেফারসন ইউনিভার্সিটি হসপিটালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নর্থ ইষ্ট ফিলাডেলফিয়ার বাসিন্দা নব বিবাহিত সাজুর পিতার নাম শামসউদ্দীনের ছেলে। ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সাজু সবার ছোট। তার স্ত্রী বাংলাদেশে অবস্থান করলেও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। মা-বাবা সহ দীর্ঘদিন মিশিগানে বসবাসের পর সম্প্রতি তারা পেনসিলভেনিয়ায় চলে আসেন।
সাজুর নামাজে জানাজা গতকতাল বৃহষ্পতিবার জোহরের নামাজের পর নর্থ ইষ্ট ইসলামিক সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। তার মরদেহ পরে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানান হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন দুর্বৃত্তকে আটক করতে পারেনি।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে সাজু হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করা হয়েছে। ফিলাডেলফিয়া বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নান্নু জানান, সাজু হত্যার প্রতিবাদে এবং বিচার দাবীতে শীঘ্রই কর্মসূচী নেয়া হবে।
Comments: