প্রতিযোগিতামূলক ভিডিও গেমের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পথে বাংলাদেশ। ই-স্পোর্টস নীতিমালা প্রণয়ন শুরু করল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেশাদার খেলাধুলার স্বীকৃতি পাওয়া ই-স্পোর্টস এবার বাংলাদেশেও সরকারি স্বীকৃতি পেল। আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ই-স্পোর্টস বিষয়ক একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সাইফুল আলমকে।
কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ক্রীড়া পরিষদের ক্রীড়া পরিচালক। সদস্য হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) একজন অধ্যাপক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের একজন প্রতিনিধি।
কমিটিকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির গাইডলাইন অনুসরণ করে, ই-স্পোর্টস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও স্টেকহোল্ডারদের মতামত বিশ্লেষণ করে খসড়া নীতিমালা তৈরির কাজ করবে এই কমিটি।
তারা প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করে সরকারকে ই-স্পোর্টসসংক্রান্ত সুপারিশ প্রদান করবে। একইসঙ্গে আইসিটি বিভাগের মতামত এবং সরকারি আইন-বিধি, নির্দেশনা, আদেশ পর্যালোচনা করে একটি নীতিনির্ধারণী কাঠামো প্রস্তাব করা হবে।
ই-স্পোর্টস ইতিমধ্যেই এশিয়ান গেমসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। গত আসরে চীনের হাংজু শহরে ই-স্পোর্টসের সাতটি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া খেলাটি অলিম্পিক গেমসেও অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের নীতিমালা গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় দেশের তরুণ গেমারদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। সরকারি স্বীকৃতি পেলে এই খাতটি তরুণদের জন্য ক্যারিয়ার গঠনের একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হয়ে উঠবে। প্রযুক্তিনির্ভর এই খেলার পেশাদারীকরণ দেশের ডিজিটাল অগ্রগতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: