যুক্তরাজ্যের নতুন শরৎকালীন বাজেটকে কেন্দ্র করে কর বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী জনগণের মাঝে। লেবার পার্টির নীতিগত বক্তব্য ও বাজেট পরিকল্পনায় স্পষ্ট হচ্ছে—কর বৃদ্ধি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না সাধারণ কর্মজীবীরা।
যদিও নির্বাচনের আগে লেবার পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা আয়কর, ভ্যাট বা জাতীয় বীমার হার বাড়াবে না, তবে বাজেট বাস্তবায়নে অর্থ সংকট কাটাতে এখন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের উপর বাড়তি করের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
লেবার সরকারের শরৎকালীন বাজেটে কর বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল। পরিবহন সচিব হাইডি আলেকজান্ডার সম্প্রতি জানান, বাজেট পরিকল্পনায় ন্যায্যতা হবে সরকারের “নির্দেশিকা নীতি”। কর বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা আয়কর বা ভ্যাট বাড়াইনি, কিন্তু বাজেট বাস্তবায়নে চ্যান্সেলরকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।”
এই বক্তব্যের ফলে জল্পনা তীব্র হয়েছে যে ভবিষ্যৎ বাজেটে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর করের বোঝা বাড়তে পারে, বিশেষ করে আয়কর সীমা স্থগিত রাখলে ২০২৭-২৮ সালের পরেও অতিরিক্ত হারে করদাতার সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
টেলিগ্রাফের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাঁচ বছরের জন্য অতিরিক্ত হারে আয়করের সীমা ১২৫,১৪০ পাউন্ডে স্থির থাকলে করদাতার সংখ্যা ৮.৬৬ মিলিয়নে পৌঁছাতে পারে—যা বর্তমানে প্রতি ৩৩ জনে একজনের পরিবর্তে প্রতি ৬ জনে একজন হবে।
লেবার পার্টির কিছু সদস্য ও প্রাক্তন নেতা লর্ড কিনক ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি সম্পদের উপর ২ শতাংশ সম্পদ করের পক্ষে বক্তব্য রাখায়, সম্পদ কর আরোপ নিয়েও দলে অভ্যন্তরীণ আলোচনার ইঙ্গিত মিলেছে।
ছায়া স্বরাষ্ট্র সচিব ক্রিস ফিলপ বলেছেন, “এই বাজেটে কর বৃদ্ধির ঝুঁকি স্পষ্ট, এবং এটি কঠোর পরিশ্রমী মধ্যবিত্ত মানুষের উপর বোঝা বাড়াবে।”
লেবার সরকারের প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও বাজেট বাস্তবায়নে চাপ এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কর নীতিতে পরিবর্তনের আভাস মিলছে। যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি, তবে মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে প্রস্তুত থাকতে হতে পারে নতুন কর কাঠামোর জন্য। এ নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে আলোচনা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: