সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অবস্থানরত প্রবাসীদের জন্য সরকার ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রবাসীদের অনুরোধে সরকার সীমিত পরিসরে রপ্তানি কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা করছে।
ইলিশ রপ্তানির নতুন উদ্যোগ: সরকার সৌদি আরব ও ইউএইতে ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০১২ সাল থেকে নিষেধাজ্ঞা: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এবার বিশেষ উদ্যোগে রপ্তানির অনুমোদন আসতে পারে। উৎপাদন ও সরবরাহ: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন ছিল ৫.৩০ লাখ টন। দেশীয় চাহিদা মেটানোর পর সীমিত পরিসরে রপ্তানি করা হবে। প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা: সৌদি আরবে ৪৪ লাখ ও ইউএইতে ২২ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। তাদের অনুরোধে এই রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রপ্তানির সময়সীমা: আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সচিবালয়ে এক বৈঠকে এই তথ্য জানান। ইলিশ রপ্তানির অনুমোদনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে। ইলিশের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশেও ইলিশ রপ্তানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
প্রবাসীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। ইলিশের পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকায় দেশীয় বাজারেও সংকট হবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ প্রবাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ আরও দৃঢ় করবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: