১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে স্টারলিংক আনার বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস ও ইলন মাস্কের আলোচনা

image

বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর বিষয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ইলন মাস্কের মধ্যে এক বিশেষ ভিডিও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কের মধ্যে ভিডিও বৈঠকে স্টারলিংক সেবার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। তারা বাংলাদেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাড়াতে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট পৌঁছাতে স্টারলিংকের ভূমিকা নিয়ে মতবিনিময় করেন।

বৃহস্পতিবার ভিডিও বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ও ইলন মাস্ক স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন ড. খলিলুর রহমান ও লামিয়া মোরশেদ। স্পেসএক্সের পক্ষে অংশ নেন ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার ও গ্লোবাল এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজার রিচার্ড গ্রিফিথস।
স্টারলিংক কীভাবে বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তা, গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছাতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, স্টারলিংক হবে গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণফোনের সম্প্রসারণের মতো, যা ডিজিটাল সংযোগকে এগিয়ে নেবে।

অধ্যাপক ইউনূস মনে করেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে বাংলাদেশের অবকাঠামোতে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাড়বে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সংযোগ আরও শক্তিশালী হবে। ইলন মাস্ক দারিদ্র্য বিমোচনে গ্রামীণ ব্যাংকের অবদান স্বীকার করে বলেন, বাংলাদেশ স্টারলিংকের মতো প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারে। অধ্যাপক ইউনূস ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যা মাস্ক ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন। ইলন মাস্ক বলেন, ‘আমি এর অপেক্ষায় আছি।’

বাংলাদেশে স্টারলিংকের আগমন ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির নতুন দুয়ার খুলতে পারে। যদি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, তবে দেশের শিক্ষাক্ষেত্র, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখন দেখার বিষয়, এই আলোচনার পর সরকার কী ধরনের নীতিগত পদক্ষেপ নেয়।





অনলাইন ডেস্ক

ভিডিও
Comments:
Sponsered Ad
Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement Advertisement

loading