রাজধানীতে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা দ্রব্যের দাম বাড়িয়েছেন। রমজান মাস ঘিরে রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি চাকরিজীবী সালাহউদ্দিন আহমেদ সহ অন্যান্য ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, শসা, বেগুন ও লেবুর দাম আগের চেয়ে বেশি রাখা হচ্ছে। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “পরশু ১ কেজি শসা ৪০ টাকা ছিল, আজ কেনো ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে?” তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়লে দাম বেড়েই যায়।
শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন শীতকালীন সবজির দাম বেড়েছে। তবে ছোলা, খেজুর, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন এবং চিনির দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। শসা ও বেগুনের দাম অতিরিক্ত বেড়েছে।
হাইব্রিড ও দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি কেজি, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। দোকানি হাশমত জানান, “চাহিদা বাড়লে দাম একটু বাড়বেই। গত বছর রোজায় শসা ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।”
চিকন বেগুনের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। গোল বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাতাবি লেবু ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এবং দেশি লেবু ১২০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, “লেবুর দাম কিছুদিন ধরেই চড়া। বর্ষায় আসবে লেবু সিজন।” নভেম্বর থেকে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। কিছু দোকানে তেল পাওয়া গেলেও দাম বেড়েছে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, ১ লিটার সয়াবিন তেল গায়ে মূল্য ১৭৫ টাকা লেখা থাকলেও তারা ১৯০ টাকায় কিনেছেন। ব্রয়লার মুরগি, ছোলা, পেঁয়াজ এবং চিনির দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা প্রতি কেজি, এবং ছোলা ১১০ থেকে ১২০ টাকা প্রতি কেজি।
রমজানের আগে রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বিশেষত, শসা, বেগুন, লেবু এবং সয়াবিন তেলের সংকট ক্রেতাদের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে চাহিদার কথা বললেও, ক্রেতারা এই পরিস্থিতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: