মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে র্যাব। র্যাবের এএসপি মুত্তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি, চেকপোস্ট ও ভিডিও মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে র্যাবের পর্যাপ্ত সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত। শহীদ মিনারের চারপাশে অবজারভেশন পোস্ট ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
নিষিদ্ধ সংগঠনের বিষয়ে কঠোরতা:
কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হবে। বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
সাইবার মনিটরিং:
সামাজিক মাধ্যমে গুজব ও উসকানিমূলক পোস্ট পর্যবেক্ষণে বিশেষ টিম কাজ করছে।
বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা:
শহীদ মিনারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ও আইপি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তায় বিশেষ টিম কাজ করবে। র্যাব সদর দপ্তর থেকে সারাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে।
র্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়ন নিজ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করবে। ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: