মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের মনিপুরী পাড়ার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মনিপুরী সম্প্রদায়ের শ্রী শ্রী রাঁধা মাদব মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে মন্দিরের সেবায়েত এমনটাই অভিযোগ মন্দির কমিটির। অভিযোগে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ এর আস্তা বাজন জয়া শর্মা বিগত ১৫ বছর যাবৎ ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে নিয়ে মামলা মোকদ্দমা দায়ের করে মন্দির কমিটিকে হেস্তনেস্ত করে রেখেছেন। মন্দির কমিটির অভিযাগে জানা যায়, শ্রী শ্রী রাঁধা মাদব মন্দির কমিটির দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত জয়া শর্মা পূর্ব পুরুষের সূত্রে সেও এখানে বসবাস ও মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্ব পালন করে আসছে। আওয়ামী শাসন আমলে সময়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে ক্ষমতার দাপটে দেবোত্তর সম্পত্তি উত্তরাধিকার দাবি করে স্বত্ত্ব ৪৭/২০১২ইং সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা দীর্ঘ দিন পর আদালত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে খারিজ করেন। সেবায়েতে আত্মসাৎকারী জয়া শর্মা সহ ভাই গং স্বত্ত ৪৭/২০১২ সালে খারিজ করা মামলার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতে স্বত্ব ৩২/২০১৪ দাবি করে মামলাটি আপীল করে। উক্ত মামলাটি আদালতে বিচার ব্যবস্থায় শুনানি শেষে বিগত ১৩ আগষ্ট ২০১৫ ইং পুনঃরায় ডিসমিস করেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় সেবায়েতগন শ্রী শ্রী রাঁধা মাদব মন্দির কমিটিতে থাকা তাদের বিরুদ্ধে সহকারী জজ আদালতে মামলা ১১৩/২০১৭ইং দায়ের করে। কিন্তু উক্ত মামলাটিও The code of civil procedure 1908 আইনের order vll rule11(d) এর বিধান অনুযায়ী সহকারী জজ আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেন। এখানে খান্ত হয়নি আওয়ামী সরকার আমলের মমদ পুষ্ট জয়া শর্মা সহ ভাই গংরা। সেবায়েতে আত্মসাৎকারী মামলাবাজ শহীদের ছত্রছায়ায় জুলুমকারী কোন প্রকার ফলাফল না পাওয়ায় উক্ত দেবোত্তর সম্পত্তির রেকর্ড সংশোধনের জন্য মৌলভীবাজার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে ৫৪/১৬ ইং আরেকটি মামলা দায়ের করে। যা চলমান রয়েছে।
তবে ভোক্তভোগি শ্রী শ্রী রাঁধা মাদব মন্দির কমিটির সভাপতি সম্পাদক সহ সকলের অভিযোগ আওয়ামী শাসনামলের মদদ পুষ্ট আত্মসাৎকারীরা মামলা করে হয়রানি করে কিছু করতে না পেরে একের এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি আতঙ্কে বসবাস করছি। হয়রানি করেও যখন কোন প্রকার ফলপ্রসূ হয়নি আমরা মন্দির কমিটির সকলে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহাদের নিকট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জন অফিসারদের নিকট হতে অদৃশ্য শক্তির কাছে আমরা হেরে গেছি। তৎকালীন সরকারের ক্ষমতা বলে অন্যায় অবিচার করে ও বিচারের মুখোমুখি করতে ব্যর্থ হয়ে গেছি তৃতীয় শক্তির বদৌলতে এই জয়া শর্মা সহ গংরা এতটাই শক্তিশালী যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন সহ সকলেই ঐ অদৃশ্য শক্তির কাছে নিরুপায় হয়ে গিয়েছিল। আর আমরা মন্দির কমিটির অফিস আদালত ঘুরে ঘুরে ফিরে ও কোন প্রকার ফলপ্রসূ জবাব বা বিচার পাইনি। সর্বশেষ আদালতের নির্দেশেনা মোতাবেক সেবায়েত অবৈদদখলদার এর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, ইউএনও,সহকারী ভূমি অফিস বরাবর বারংবার লিখিত দিয়েও তা ফলপ্রসূ বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হয়নি আজ অব্দি। বর্তমান জেলা প্রশাসক অফিস সূত্রে জানা গেছে, শ্রী শ্রী রাঁধা মাদব মন্দিরের জমি দেবোত্তর সম্পত্তির নামে রেকর্ড ভুক্ত রয়েছে কিন্তু এই জবরদখলকারী জয়া শর্মা সহ ভাই গংরা তাদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলার বাহিনী সহ অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট আকুল আবেদন এ ভুমি দস্যুকে অনতিবিলম্বে দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে সকলের সহযোগিতা ও সহমর্মিতা আবেদন জানায় মন্দির কমিটির সভাপতি সম্পাদক সহ সকলের নিকট। সঠিকভাবে আইনি প্রক্রিয়া কার্যকর করার দাবি জানান অবহেলিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মনিপুরী সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষগুলো।
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
Comments: