সৌদি আরব থেকে হজ পালন শেষে দেশে ফিরেই সিলেটে গ্রেপ্তার হলেন আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হক। বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল হক শুক্রবার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২৩৮ ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল হক।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাকে আটক করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা থাকার তথ্য নিশ্চিত হলে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করেছে। তাকে পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
কামরুল হক সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন ট্রাভেলস ব্যবসায়ী।
তিনি উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা এবং ঢাকার বিশিষ্ট ট্রাভেল ব্যবসায়ী মরহুম আব্দুর রাজ্জাকের ভাতিজা। এছাড়াও তিনি সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য খসরুল হকের ভাই।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের সময় তার বিরুদ্ধে একটি চলমান মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সিলেটে হজফেরত আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হকের গ্রেপ্তারের ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছে। মামলার বিস্তারিত এখনো স্পষ্ট না হলেও, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসার অপেক্ষায় রয়েছে স্থানীয় মহল।
অনলাইন ডেস্ক
Comments: