বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে এক তরুণীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে মো. খোকন মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তাকে সহায়তা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মোসাঃ শারমিন বেগমকেও।
ধর্ষক খোকন মোল্লা মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের চরখাগকাটা গ্রামের মো. শাহ আলম মোল্লার ছেলে। তিনি স্থানীয় নিউ শিমলা বেকারির মালিক। তার বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ সকালে শারমিন বেগম নামের এক নারী ভুক্তভোগী তরুণীকে ফুসলিয়ে বরিশালে নিয়ে যান। এরপর নিউ শিমলা বেকারির মালিক খোকন মোল্লার সহযোগিতায় তাকে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। হোটেল কক্ষে নিয়ে তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন খোকন এবং নিজের মোবাইল ফোনে তার নগ্ন ভিডিও ও ছবি ধারণ করেন। এরপর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তরুণীকে ভয়ভীতি দেখান।
পরে ওই ভিডিওচিত্র ভুক্তভোগীর স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে পাঠানো হয়। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তরুণী। তার স্বামী তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান এবং সমাজে চরম অপমানিত হতে হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর মা লাবনী বেগম মেহেন্দিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযানে নেমে প্রধান আসামী খোকন মোল্লা ও তার সহযোগী শারমিন বেগমকে গ্রেফতার করে এবং অপরাধে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ভিডিওচিত্র জব্দ করে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, “ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করে আমরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা করেছি। দুই আসামীকেই গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। খোকন মোল্লার মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও এবং স্থিরচিত্র জব্দ করা হয়েছে। আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত খোকন মোল্লার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
সিয়াম বিশ্বাস, মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি
Comments: